Class 8 | Science| Chapter 13 | Part 1
খাদ্য ও পুষ্টি
৮ম বিজ্ঞান ত্রয়োদশ অধ্যায়।
এই আধ্যায়ের কিছু গুরুত্ত্বপূর্নো তথ্যাবলী :-
>>খাদ্যদ্রব্য আমাদের দেহে তিনটি কাজ করে।
>>সিদ্ধ চালে থাকে ৭৯% স্বেতসার ও ৬% স্নেহ।
>>১০০গ্রাম চালে ৩৫৪-৩৪৯ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
>>চাল স্বেতসার জাতীয় পদার্থ।
>>বিশুদ্ধ খাদ্যে একটি মাত্র উপাদান থাকে।
>>চিনি গ্লূকোজ বিশুদ্ধ খাদ্য এরা শর্করা জাতীয় খাদ্য।
>>খাদ্য বস্তুকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা আমিষ বা প্রোটিন , শর্করা বা স্বতসার, স্নেহ বা চর্বি।শর্করা শজ পাচ্য।
>>শর্কাই কার্বন,হাইড্রোজেন, অক্সিজেন তিনটি মৌলিক পদের্থ থাকে।
>>গ্লূকোজ এক ধরনের সরল শর্করা।
>>শর্করা তিন প্রকার।
>>গ্লূকোজ রক্তের মাধ্যমে সারা দেহে প্রবাহীত হয়।
>>১ গ্রাম শর্করা ৪ কিলোক্যালরি তাপ উৎপন্ন করে।
>>মানব দেহে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম শর্করা জমা থাকে।
>>শর্করার চাহিদা নির্ভর করে বয়স,দেহের ওজন, উচ্চতা ও পরিশ্রমের উপর।
>>শর্করারচাহিদা = ব্যক্তির ওজন X ৪.৬ গ্রাম
>>৬০ কেজি ওজনের ব্যক্তির শর্করার চাহিদা ২৭৬ গ্রাম।
>>আমাদের দেহের মোট ক্যলরির ৬০-৭০ ভাগ শর্করা হতে গ্রহন করে।
>>রক্তে শর্করার পরিমান কমে গেলে বিপাক ক্রিয়ার সৃষ্ট হয়।
>>রক্তে শর্করার পরিমান কমে গেলে হাইপোগ্লোমিয়ার সৃষ্টি হয়।
>>হাইপোগ্লাইমিয়ায় ক্ষুধা, বমি বমি ভাব, অতিরিক্ত ঘামান ও হ্রদস্পন্দন বেড়ে যায়।
>>আমিষ আমাদের দেহের গঠন উপাদান।
>>C,H,O,S,N
নিয়ে আমিষ গঠিত।
>>আমিষে ১৬% নাইটড়োজেন থকে।
>>আমিষ এমাইনো এসিডের একটি যৌগ।
>>২২ প্রকার এমাইনো আসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে।
>>একজন ব্যক্তির শক্তি তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর শীলঃ-মৌল বিপাক, দৈহিক পরিশ্রম, খাদ্যের প্রভাব।
>>দ্রবনীয়তার গুন অনুসারে ভিটামিন দুই প্রকার।
>>স্নেহ জাতীয় পদার্থে দ্রবনীয় ভিটামিন হলোঃ-
>>পানিতে দ্রবনীয়ঃ-
>>মাছের তেলে ভিটামিন এ থাকে।
>>প্রাণীজ স্নেহে ভিটামিন এ থাকে।
>>লালশাক, পুইশাক, পালংশাক, টমেটো, গাজর, বীট ও মিষ্টি কুমড়া তে ভিটামিন এ থাকে।
>>মলা ও ঠেলা মাছে ভিটামিন এ থাকে।
 | |
| Balance diet |
>>ভিটামিন এ দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক রাখে।
>>ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা ও জেরোথেলেমিয়া রোগ হয়।
>>ভিটামিন এ এর অভাবে চোখের কর্ণিয়ার ক্ষতি হয়।
>>সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভিটামিন এ এর অভাবে ঘটে।
>>বি কমপ্লেক্স অন্তর্নিহীত শক্তি মুক্ত করে।
>>বি১ স্নায়ু তন্ত্র সচল রাখে।
>>বি১ শর্করা বিপাক করে।
>>বি২ কে রিবোফ্লাবিন বলা হয়।
>>বি৬ পাইরিডক্সিন উৎপন্ন করে।
>>বি১২ কে সায়ানোবোলেমিন বলে।
>>বি১২ রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
>>আমলকি,লেবু,আমড়া, আনারস, পেয়ারা জাতীয় ফলে ভিটামিন সি থাকে।
>>লেটূস পাতায় ভিটামিন সি থাকে।
>>ভিটঃ-সি পেশি ও দাত মজবুত করে।
>>সি কন্ঠনালি ও নাকের সংক্রমন রোধ করে।
>>ডি এর অভাবে লোহার শোষন, সঞ্চয়, ও হিমোগ্লোবিন তৈরিতে বিঘ্ন ঘটায়।
>>সূর্য রশ্নি তে
ডি থাকে।
>>বয়স্কদের রিকেটস অস্টোমালেশিও নামে পরিচিত।
>>শস্যদানা,যকৃত,মাছ, মাংসের চর্বিতে ভিটঃ-ই থাকে।
>>সবুজ রঙের শাকসবজি,লেটুসপাতা, ফুলকপি, বাধাকপি, যকৃতে কে থাকে।
>>যকৃত থেকে পিত্তথলি নিঃসৃত হয়।
>>ক্যালসিয়াম দাত ও হাড় গঠন করে।
>>ফসফরাস দাত ও হাড় গঠন করে।
>>লৌহ লোহিত রক্ত কণিকা গঠন করে।
>>আয়োডিন থাইরোয়েড গ্রন্থির কাজ ও বিপাক কাজ স্পাদন করে থাকে।
>>অধিক কোষ ও দেহের জন্য সোডিয়াম প্রয়োজন
>>পেশি সংকোচনে পটাসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
>>ডি এর অভাবে রিকেটস রোগ ধেখা যায়।
>>ডি এর সাথে ক্যালসিয়াম শোষিত হয়।
>>গলগন্ড রোগ কে ঘ্যাগ বলে।
>>রক্তাল্পতা কে এনিমিয়া বলে।
>>দেহের ভরের ৭০ ভাগ পানি।
>>১লিটার পানি, ৫০ গ্রাম চালের গুড়া ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে স্যালাইন তৈরি করা হয়।
>>দেহে পানি ২০ শতাওংশের নিচে নামলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
>>আশ যুক্ত তন্তুকে রাফেজ বলে।
>>শস্য দানা ,ফলমুল সবজির অপাচ্য অংশকে রাফেজ বলে।
>>রাফেজে কোনো পুষ্টি গুন নেই।
>>আশ যুক্ত খবার থেকে রাফেজ পাওয়া যায়।
>>দৈনিক ক্যালরির ৭০% শর্করা,১০% আমিষ, ৩০-৪০% স্নেহ জাতীয় পদার্থ থাকে।
>>অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিড দেহে তৈরি হয়।
>>আত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিডের অভাবে বমি,মূত্রে জৈব এসিড, নাইট্রোজেনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
>>১০০ ভাগ আমিষ শোষিত হলে সহজ পাচ্যতার গুনক এক।
>>মায়ের দুধে সহজ পাচ্যতার গুনক এক।
>>আমিষের অভাবে কোয়র শিয়ার ও মেরোমাস রোগ দেখা যায়।
>>কোয়ারশিয়ার রোগে শিশুদের খাওয়ার অরুচি ঘটে।
>>স্নেহ কে শক্তি উৎপাদন কারী উপাদান বলা হয়।
>>স্নেহ পদার্থে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন বেশি থাকে।
>>স্নেহ পদার্থ ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলের সমন্বয়ে গঠিত।
>>ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারল ভিলাইয়ের লসিকা নালিতে শোষিত হয়।
>>স্নেহ পদার্থে ২০ প্রকার এমাইনো এসিড থাকে।
>>চর্বি জাতীয় এসিড দুই প্রকার।
>>যকৃতে চর্বি জাতীয় এসিড তৈরি হয়।
>>দৈনিক মোট চাহিদার ২০-৩০% শক্তি স্নেহ থেকে পাওয়া যায়।
>>অসম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় এসিড উপকারী।
>>সয়াবিন,সূর্যমুখী, তিলের তেল,ভূট্টার তেল অসম্পূর্ণ চর্বি।
>>অত্যাবশ্যকীয় চর্বি জাতীয় এসিডের অভাবে শিশুদের একিজমা রোগ হয়।
No comments: